মহাকাশ নিয়ে মানুষের প্রবল জল্পনা কল্পনা প্রযুক্তির শুরুর থেকেই ছিল। উন্নত দেশ গুলো যখন মহাকাশের ব্যাপারে অনেকটুক এগিয়ে গিয়েছিলো তখনও বাংলাদেশের জন্য কেবল মহাকাশে স্যাটেলাইটে নিক্ষেপণ যেন এটি স্বপ্ন এবং ধরা ছোঁয়ার বাইরেই ছিল। তবে উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে বাংলাদেশ সেই জল্পনা কল্পনা কে কিছুটা হলেও ছুঁতে পেরেছে। আর যে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার মহাকাশ কার্যক্রম এর যাত্রা শুরু করেছে সেটির নাম হলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, এর নাম কম বেশি অনেকেই ইতিমধ্যে শুনেছেন।
বলতেই হয় একুশ শতকে এসে ডিজিটাল বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার জন্য এই যাত্রাটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আজকে আমরা জানব সেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কে নিয়ে কিছু তথ্য। তার আগে ছোট করে জেনে নেওয়া যাক, স্যাটেলাইট টা আসলেই কি?
স্যাটেলাইট একটি গ্রিক শব্দ যার ইংরেজি অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ দাঁড়ায় অণুসরণ করা। মূলত স্যাটেলাইট কে আমরা বাংলায় যে নামে চিনি সেটি হলো উপগ্রহ । স্যাটেলাইট দুই প্রকারের হয়ে থাকে। একটি হলো প্রাকৃতিক আর দ্বিতীয়টি হলো কৃত্রিম। পৃথিবীতে শুধু মাত্র একটিই প্রাকৃতিক উপগ্রহ সেটি হলো চাঁদ আর বাকি সব ই হলো কৃত্রিম । স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করতে হয় রকেটের সাহায্যে। এবার বলি স্যাটেলাইট এর আসলে কাজ টা কি? এবং কি কি কাজে স্যাটেলাইট ব্যবহৃত হয়?
১. টেলিভিশনে আমরা যেই বিভিন্ন চ্যানেল দেখে থাকি তার সিগন্যাল পাঠানোর কাজে।
২.বিভিন্ন সঅংস্থার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে।
৩.প্রতিরক্ষা বিভাগের অভ্যন্তরীন খবরাখবর আদান প্রদানে।
৪.আবহাওয়ার সবর্শেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণে।
উল্লিখিত কাজগুলো ছাড়া ও আরো অনেক কার্য সম্পাদন করে থাকে এই স্যাটেলাইট ।
এবার জানা যাক, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এক (BS1) নিয়ে কিছু কথা। BS1 উৎক্ষেপন এর আগ পর্যন্ত পৃথিবীর মোট 56 টি দেশের প্রায় দুই হাজারের ও অধিক স্যাটেলাইট মহাকাশে আগে থেকেই অবস্থান করছিলো। বাংলাদেশ BS1 উৎক্ষেপন এর মাধ্যমে সেটি 57 তম দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। BS1 মূলত একটি যোগাযোগ ও সম্প্রচারমূলক স্যাটেলাইট । 3.7 টনের এই স্যাটেলাইট টি তৈরি করে ফ্রান্স থ্যালাসেমিয়া এলেনিয়া স্পেস। উৎক্ষেপন এর ছয় মাস আগ পর্যন্ত এরা এটিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এক নির্মাণের ব্যয় খরচ ছিল প্রায়- দুই হাজার সাতশো কোটি টাকার মত, এতে বাংলাদেশের কাছ থেকে যোগান দিতে হয় ১৩১৫ কোটি টাকা প্রায় এবং অবশিষ্ট অর্থের যোগান আসে বিদেশী বিনিয়োগ থেকে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রথম উৎক্ষেপন হয় ১২ মে ২০১৮ সালে মধ্যরাত ২.১৪ মিনিটে ফ্লোরিডা থেকে ফেলকন ৯ ব্লক ৫ রকেটের মাধ্যমে। BS1 এর অবস্থান 191.1° দ্রাঘিমাংশে এবং এর কভারেজ এরিয়া ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত । উৎক্ষেপন এর আগে এর মেয়াদকাল নির্ধারণ হয়েছিল ১৫ বছর কিন্তু উৎক্ষেপন এর সময় এর মেয়াদকাল আরো তিন বছর বাড়িয়ে ১৮ করা হয়। BS1 এর প্রাথমিক গ্রাউন্ড স্টেশন করা হয়েছে গাজিপুর তেলিপাড়া, রাঙামাটি (ইনসেট)। BS1 এর বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম উদ্বোধন হয় ২ অক্টোবর ২০১৯ সালে প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে । এসময় দেশের ৩৪ টি টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।
বলতেই হয় একুশ শতকে এসে ডিজিটাল বাংলাদেশের ইতিহাস গড়ার জন্য এই যাত্রাটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আজকে আমরা জানব সেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কে নিয়ে কিছু তথ্য। তার আগে ছোট করে জেনে নেওয়া যাক, স্যাটেলাইট টা আসলেই কি?
স্যাটেলাইট একটি গ্রিক শব্দ যার ইংরেজি অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ দাঁড়ায় অণুসরণ করা। মূলত স্যাটেলাইট কে আমরা বাংলায় যে নামে চিনি সেটি হলো উপগ্রহ । স্যাটেলাইট দুই প্রকারের হয়ে থাকে। একটি হলো প্রাকৃতিক আর দ্বিতীয়টি হলো কৃত্রিম। পৃথিবীতে শুধু মাত্র একটিই প্রাকৃতিক উপগ্রহ সেটি হলো চাঁদ আর বাকি সব ই হলো কৃত্রিম । স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করতে হয় রকেটের সাহায্যে। এবার বলি স্যাটেলাইট এর আসলে কাজ টা কি? এবং কি কি কাজে স্যাটেলাইট ব্যবহৃত হয়?
১. টেলিভিশনে আমরা যেই বিভিন্ন চ্যানেল দেখে থাকি তার সিগন্যাল পাঠানোর কাজে।
২.বিভিন্ন সঅংস্থার অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের ক্ষেত্রে।
৩.প্রতিরক্ষা বিভাগের অভ্যন্তরীন খবরাখবর আদান প্রদানে।
৪.আবহাওয়ার সবর্শেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণে।
উল্লিখিত কাজগুলো ছাড়া ও আরো অনেক কার্য সম্পাদন করে থাকে এই স্যাটেলাইট ।
এবার জানা যাক, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এক (BS1) নিয়ে কিছু কথা। BS1 উৎক্ষেপন এর আগ পর্যন্ত পৃথিবীর মোট 56 টি দেশের প্রায় দুই হাজারের ও অধিক স্যাটেলাইট মহাকাশে আগে থেকেই অবস্থান করছিলো। বাংলাদেশ BS1 উৎক্ষেপন এর মাধ্যমে সেটি 57 তম দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। BS1 মূলত একটি যোগাযোগ ও সম্প্রচারমূলক স্যাটেলাইট । 3.7 টনের এই স্যাটেলাইট টি তৈরি করে ফ্রান্স থ্যালাসেমিয়া এলেনিয়া স্পেস। উৎক্ষেপন এর ছয় মাস আগ পর্যন্ত এরা এটিকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এক নির্মাণের ব্যয় খরচ ছিল প্রায়- দুই হাজার সাতশো কোটি টাকার মত, এতে বাংলাদেশের কাছ থেকে যোগান দিতে হয় ১৩১৫ কোটি টাকা প্রায় এবং অবশিষ্ট অর্থের যোগান আসে বিদেশী বিনিয়োগ থেকে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রথম উৎক্ষেপন হয় ১২ মে ২০১৮ সালে মধ্যরাত ২.১৪ মিনিটে ফ্লোরিডা থেকে ফেলকন ৯ ব্লক ৫ রকেটের মাধ্যমে। BS1 এর অবস্থান 191.1° দ্রাঘিমাংশে এবং এর কভারেজ এরিয়া ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত । উৎক্ষেপন এর আগে এর মেয়াদকাল নির্ধারণ হয়েছিল ১৫ বছর কিন্তু উৎক্ষেপন এর সময় এর মেয়াদকাল আরো তিন বছর বাড়িয়ে ১৮ করা হয়। BS1 এর প্রাথমিক গ্রাউন্ড স্টেশন করা হয়েছে গাজিপুর তেলিপাড়া, রাঙামাটি (ইনসেট)। BS1 এর বাণিজ্যিকভাবে কার্যক্রম উদ্বোধন হয় ২ অক্টোবর ২০১৯ সালে প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে । এসময় দেশের ৩৪ টি টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়।