ক্লাউড স্টোরেজ প্রযুক্তির এক নতুন অধ্যায় - পর্ব ১
যুক্তরাষ্ট্রের "ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং (NIST) এর মতে ক্লাউড কম্পিউটিং এর জন্য যেইসব বৈশিষ্ট্য থাকবে সেগুলি হলো-
- রিসোর্স স্কেলেবিলিটি: ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী দাতা সেই পরিমাণ সেবা প্রদান করতে পারবে, এই ক্ষেত্রে চাহিদা কম বেশি হতে পারবে।
- অন-ডিমান্ড:ক্রেতা যখন চাইবে তখনই সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
- পে অ্যাজ ইউ গো: এটা একটি পেমেন্ট মডেল। এতে আগে থেকে ক্রেতাকে সার্ভিস রিজার্ভ করতে হবে না । ক্রেতা যা ব্যবহার করবে তার জন্য ঠিক ততটুকুই পেমেন্ট দিবে।
উপরোক্ত তিনটি বৈশিষ্ট্য ছাড়াও আরো একটি বৈশিষ্ট্য (Broad Network Accees) আছে যেখানে বলা হয়েছে ক্রেতা ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইসে যেমন টিভি, ল্যাপটপ, ফোন ইত্যাদিতে একই সাথে ইন্টারনেট সেবাটি গ্রহণ করতে পারবে।
ক্লাউড কম্পিউটিং মূলত নিচের তিনটি সেবা প্রদান করে থাকে:-
- অবকাঠামোগত সেবা: ক্লাউড সার্ভিস প্রদানকারীরা এখানে তাদের প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার রিসোর্স সমূহ ব্যবহারকারীদের ভাড়া দিয়ে থাকে যেখানে ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনীয় অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার চালাতে পারে।
- প্লাটফর্মভিত্তিক সেবা: এখানে ক্লাউড সেবাদানকারী রা তাদের প্রতিষ্ঠানের একটি প্লাটফর্ম ভাড়া দেয়। অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার গণ তাদের তৈরি করা সফটওয়্যার এই প্লাটফর্মে ভাড়ায় চালাতে পারে ।
- সফটওয়্যার সেবা: এই ব্যবস্থায় ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এর উন্নয়ন করা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারসমূহ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীগণ চালাতে পারবেন।
সুবিধা:
- যে কোনো স্থান হতে ইন্টারনেট ব্যবহারে তথ্য আপলোড এবং ডাউনলোড করা যায় ।
- সর্বক্ষণ ব্যবহার করা যায় ।
- তথ্য কিভাবে সংরক্ষণ বা প্রসেস হবে তা জানার প্রয়োজন পড়ে না ।
- স্বয়ংক্রিয় ভাবে সফটওয়্যার আপডেট হয়ে থাকে।
- খরচ তুলনামূলক কম।
অসুবিধা:
ক্লাউড ব্যবহারের প্রধান সমস্যা হলো কোনো ডেটা, অ্যাপ্লিকেশন বা প্রোগ্রাম এর উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না। একবার ক্লাউড এ তথ্য আপলোড হয়ে গেলে সেখানে কীভাবে তথ্য সংরক্ষিত হচ্ছে বা প্রসেস হবে তা ব্যবহারকারীর কোনো ভাবে জানার উপায় থাকে না। এতে গোপনীয়তা ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া তথ্য পালটে যাওয়ার ও সম্ভাবনা ও থাকে।