একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ফাহিম সালেহ ৩৩ বছর বয়সী তরুণ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। দু'চোখ ভরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে প্রযুক্তির দুনিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। প্রচুর সুনাম বয়ে এনেছেন বাংলাদেশের হয়ে। দুই বন্ধু মিলে বাংলাদেশে গড়ে তুলেছেন Pathao এর মতন বিশাল রাইড শেয়ারিং কোম্পানি। যা অল্পদিনেই কুড়িয়ে এনেছে ব্যাপক সফলতা । পৃথিবীর আরো কয়েকটি দেশে শুরু করেছিলেন রাইড শেয়ারিং প্রযুক্তির এই নতুন অধ্যায়। কিন্তু অজানা এক কালো অধ্যায় ইতি টানে এই সফল বাংলাদেশী উদ্যোক্তার! নিউইয়র্ক এ নিজ বাসায় নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় ফাহিম সালেহকে এবং এই ঘটনা পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে।
১৯৮৬ সালে জন্ম নেয়া তরুণ উদ্যোক্তার পৈতৃক বাড়ী চট্টগ্রাম এবং নানার বাড়ী নোয়াখালী হলেও ফাহিমের জন্মস্থান সৌদিআরব। ফাহিমের বাবাও ছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে যুক্তরাষ্টে। মেধাবী এই তরুণ হাই স্কুলএ পড়া অবস্থায় একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেন। পরে যুক্তরাষ্টের Bentley University থেকে Information System বিভাগ থেকে Graduation সম্পন্ন করেন। তারপর পরই চাকরি খুঁজতে থাকেন এবং পেয়েও যান। কিন্তু চাকরিতে যোগদান না করে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। ২০১৪ সালে নিওইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফিরে Pathao এর কাজ শুরু করেন । বাংলাদেশ ছাড়াও নাইজেরিয়া তে Gokada নামের আরেকটি রাইড শেয়ারিং চালু করেন। পেশায় ওয়েবসাইট ডেভেলপার ফাহিম Adventure Capital Global নামের প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন ।
মূলত ফাহিম সালেহর অগোচরে ৯০ হাজার ডলার চুরির দায়ে চাকরিচ্যুত করেছিলেন তার ব্যক্তিগত সহকারী চীফ অফ স্টাফ টাইরিস হাসবিলকে। চুরির দায়ে পুলিশ রিপোর্ট না করে ফাহিম সালেহ সময় বেঁধে দেন টাইরিস হাসবিলকে ধীরে ধীরে অর্থ পরিশোধ করার। চাকরি হারানোর ক্ষোভ এবং অর্থ পরিশোধ এড়াতে ১২ জুলাই ফাহিম সালেহ’র সঙ্গে তার অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে প্রথমেই তাকে অচেতন করে মারাত্বক ভাবে ছুরিকাঘাত করে নৃশংস ভাবে খুন করে ২১ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ হাসবিল। হত্যার পরদিন আবার ফাহিমের ফ্ল্যাটে ঢোকে সমস্ত আলামত মুছে ফেলতে, ফাহিম সালেহ’র শরীরের বিভিন্ন অংশ হাসবিল টুকরো টুকরো করে মরদেহ ব্যাগে ভরে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু তখনি তার বোনের উপস্থিতি টের পাওয়াও সরে পরে সে । এখানেই শেষ নয় খুনের পর খুশিতে পার্টি করতে চেয়েছিলো হাসবিল। এবং এজন্য সে ব্যবহার করেছে ফাহিম সালেহের Credit Card।
জানা যায়যে করোনার প্রভাব শেষ হলে নতুক এক প্রজেক্ট নিয়ে আবারো বাংলাদেশের মাটিতে আসার পরিকল্কপ্পনা করছিলেন ফাহিম সালেহ। অনেক বড় স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে নিয়ে তার। তরুণদের উদ্দেশে বাংলাদেশের এই তরুণ উদ্যোক্তা বলেছিলেন টাকার পিছন ছুটনা বরং টাকাকে তোমার পিছনে ছুটতে দাও।
একজন বাংলাদেশি বংশদ্ভূত ফাহিম সালেহর নৃশংস হত্যাকান্ড এদেশের মেধাবী তরুণদের অনেক কিছুই ভাবাচ্ছে। একজন ফাহিম সালেহর নৃশংস হত্যাকান্ডর ব্যাপারে ন্যায় বিচার না পাওয়াটা এই জাতির ভবিষ্যত তরুণদের জন্য বড় হুমকি। হয়তো একজন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত Elon Musk পেতে পারতাম আমরা।
১৯৮৬ সালে জন্ম নেয়া তরুণ উদ্যোক্তার পৈতৃক বাড়ী চট্টগ্রাম এবং নানার বাড়ী নোয়াখালী হলেও ফাহিমের জন্মস্থান সৌদিআরব। ফাহিমের বাবাও ছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। শৈশব ও কৈশোর কেটেছে যুক্তরাষ্টে। মেধাবী এই তরুণ হাই স্কুলএ পড়া অবস্থায় একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে ব্যাপক সাড়া ফেলে দেন। পরে যুক্তরাষ্টের Bentley University থেকে Information System বিভাগ থেকে Graduation সম্পন্ন করেন। তারপর পরই চাকরি খুঁজতে থাকেন এবং পেয়েও যান। কিন্তু চাকরিতে যোগদান না করে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। ২০১৪ সালে নিওইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফিরে Pathao এর কাজ শুরু করেন । বাংলাদেশ ছাড়াও নাইজেরিয়া তে Gokada নামের আরেকটি রাইড শেয়ারিং চালু করেন। পেশায় ওয়েবসাইট ডেভেলপার ফাহিম Adventure Capital Global নামের প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন ।
মূলত ফাহিম সালেহর অগোচরে ৯০ হাজার ডলার চুরির দায়ে চাকরিচ্যুত করেছিলেন তার ব্যক্তিগত সহকারী চীফ অফ স্টাফ টাইরিস হাসবিলকে। চুরির দায়ে পুলিশ রিপোর্ট না করে ফাহিম সালেহ সময় বেঁধে দেন টাইরিস হাসবিলকে ধীরে ধীরে অর্থ পরিশোধ করার। চাকরি হারানোর ক্ষোভ এবং অর্থ পরিশোধ এড়াতে ১২ জুলাই ফাহিম সালেহ’র সঙ্গে তার অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে প্রথমেই তাকে অচেতন করে মারাত্বক ভাবে ছুরিকাঘাত করে নৃশংস ভাবে খুন করে ২১ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ হাসবিল। হত্যার পরদিন আবার ফাহিমের ফ্ল্যাটে ঢোকে সমস্ত আলামত মুছে ফেলতে, ফাহিম সালেহ’র শরীরের বিভিন্ন অংশ হাসবিল টুকরো টুকরো করে মরদেহ ব্যাগে ভরে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু তখনি তার বোনের উপস্থিতি টের পাওয়াও সরে পরে সে । এখানেই শেষ নয় খুনের পর খুশিতে পার্টি করতে চেয়েছিলো হাসবিল। এবং এজন্য সে ব্যবহার করেছে ফাহিম সালেহের Credit Card।
জানা যায়যে করোনার প্রভাব শেষ হলে নতুক এক প্রজেক্ট নিয়ে আবারো বাংলাদেশের মাটিতে আসার পরিকল্কপ্পনা করছিলেন ফাহিম সালেহ। অনেক বড় স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে নিয়ে তার। তরুণদের উদ্দেশে বাংলাদেশের এই তরুণ উদ্যোক্তা বলেছিলেন টাকার পিছন ছুটনা বরং টাকাকে তোমার পিছনে ছুটতে দাও।
একজন বাংলাদেশি বংশদ্ভূত ফাহিম সালেহর নৃশংস হত্যাকান্ড এদেশের মেধাবী তরুণদের অনেক কিছুই ভাবাচ্ছে। একজন ফাহিম সালেহর নৃশংস হত্যাকান্ডর ব্যাপারে ন্যায় বিচার না পাওয়াটা এই জাতির ভবিষ্যত তরুণদের জন্য বড় হুমকি। হয়তো একজন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত Elon Musk পেতে পারতাম আমরা।